বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম ও বর্তমান পরিস্থিতি

বর্তমান বাজারে স্বর্ণের দাম

বর্তমান বাজারে স্বর্ণের দাম: স্বর্ণের দাম বর্তমানে প্রতি আউন্স ১৯৫০-২০০০ ডলার এবং বাংলাদেশে প্রতি ভরি ১.৩০-১.৪০ লাখ টাকা। মুদ্রাস্ফীতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রভাবে দাম পরিবর্তিত হচ্ছে।

বর্তমান বাজারে স্বর্ণের দাম

স্বর্ণ পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান ধাতু হিসেবে যুগ যুগ ধরে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। শুধু অলংকার হিসেবেই নয়, বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবেও স্বর্ণের গুরুত্ব অপরিসীম। সাম্প্রতিককালে স্বর্ণের বাজারে একাধিক কারণের প্রভাবে দাম উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা বর্তমান স্বর্ণের বাজারের দাম ও এর প্রভাবক সমূহ নিয়ে আলোচনা করবো।

স্বর্ণের মূল্য তালিকা

ক্যারেট মূল্য (প্রতি ভরি) মূল্য (প্রতি গ্রাম)
২২ ১১২,৪৪০ টাকা ১০,০৪৬ টাকা
২১ ১০৮,৫২০ টাকা ৯,৫৮৯ টাকা
১৮ ৯২,৫৮০ টাকা ৮,২১৯ টাকা
সনাতন ৭৫,৫৪০ টাকা ৬,৭৯৫ টাকা

রুপার মূল্য তালিকা

ক্যারেট মূল্য (প্রতি ভরি) মূল্য (প্রতি গ্রাম)
২২ ১৮,০০০ টাকা ১,৮০০ টাকা
২১ ১৭,২০০ টাকা ১,৭২০ টাকা
১৮ ১৪,৭০০ টাকা ১,৪৭০ টাকা
সনাতন ১১,০০০ টাকা ১,১০০ টাকা

স্বর্ণের বর্তমান দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে প্রায় ১৯৫০ থেকে ২০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বাংলাদেশে স্থানীয় বাজারেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে, যেখানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে। এই দাম পূর্ববর্তী মাসগুলোর তুলনায় কিছুটা কমেছে, তবে তাত্ত্বিকভাবে এখনও উচ্চতর পর্যায়ে রয়েছে।

স্বর্ণের দামের উপর প্রভাবক

স্বর্ণের দামের উপর একাধিক বিষয় প্রভাব ফেলে থাকে। এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি প্রভাবক নিচে উল্লেখ করা হলো:

আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থা

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বর্ণের দামের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধাবস্থা, বা মহামারীর মতো ঘটনা স্বর্ণের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়, ফলে দামও বৃদ্ধি পায়।

মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রার মান

মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির সময় স্বর্ণে বিনিয়োগ নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। ফলে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ে এবং দামও বাড়ে। অন্যদিকে, ডলারের মান কমে গেলে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায় কারণ এটি ডলারের সাথে সম্পর্কিত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি

বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মুদ্রা সংরক্ষণ হিসেবে স্বর্ণ কিনে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুলো স্বর্ণের রিজার্ভ বাড়ালে স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং এর দাম বাড়ে।

বিনিয়োগ ও সঞ্চয়

বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ বাজারে বিনিয়োগ এড়িয়ে নিরাপদ বিকল্প হিসেবে স্বর্ণে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই সময়ে স্বর্ণের চাহিদা ও দাম উভয়ই বৃদ্ধি পায়।

স্বর্ণের ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস

বিশ্লেষকদের মতে, আগামী কিছু সময়ে স্বর্ণের বাজারে আরও পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, জিওপলিটিক্যাল ঘটনাবলী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতি পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে। তবে স্বর্ণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে এর অবস্থান বজায় থাকবে।

উপসংহার

স্বর্ণের বাজার বর্তমানে নানা প্রভাবকের অধীনে রয়েছে এবং এর দাম সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বর্ণে বিনিয়োগ করা এখনও একটি নিরাপদ ও লাভজনক উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই স্বর্ণের বাজারের উপর নজর রাখা এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরবর্তী পোস্টটি দেখুন! আগের পোস্টটি দেখুন!
কোনো কমেন্ট নেই !
এখানে কমেন্ট করুন!
comment url